রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে। পরে দুপুরের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য আমেনার মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) মর্গে পাঠানো হয়।
আমেনা বেগম উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক।
ইতোমধ্যে আমেনার ভাই আলম শেখ বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আলম শেখ বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় এক যুগ আগে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ধুকুরিয়া গ্রামের মৃত ইমান আলী শেখের মেয়ে আমেনা বেগমের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে।
তিনি বলেন, বোনকে প্রায়ই স্বামী রফিকুল ইসলাম নানাভাবে নির্যাতন করতো। নির্যাতন সইতে না পেরে সে শনিবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় বিষপান করে।
পরে চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে জানান আলম শেখ।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ বাংলানিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামি পলাতক থাকায় এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি/আইএ