রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম মিলনায়তনে ‘অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স’ শীর্ষক এ সেবা উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বাংলাদেশ পুলিশ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ আবেদনের জন্য pcc.police.gov.bd এড্রেসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সরকারি ফি পরিশোধের চালান স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। সে জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে থানায় আসার প্রয়োজন হবে না।
আবেদনের পর অনলাইনে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কাজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর, পুলিশ সুপার বা উপ-কমিশনারের প্রতিস্বাক্ষর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন হওয়ার আবেদনের সময় উল্লেখিত স্থান থেকে সশরীরে এটি সংগ্রহ করতে পারবেন। অথবা কুরিয়ারের ফি পরিশোধ সাপেক্ষে ঘরে বসেই সার্টিফিকেট নিতে পারবেন।
ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটটিতে একটি কিউ-আর কোড প্রিন্ট করা থাকে। যেকোনো স্মার্ট ফোন থেকে কিউ-আর কোডটি স্ক্যান করলে ইস্যু হওয়া সার্টিফিকেটের একটি অনলাইন লিংক পাওয়া যাবে। যেকোনো ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকে লিংকটি ভিজিট করলে সার্টিফিকেটের একটি অবিকল ডিজিটাল কপি দেখা যাবে। ফলে এই সার্টিফিকেট জাল হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকবে না।
এই সেবাটি গত বছরের ২০ নভেম্বর থেকে কুমিল্লা জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নতুন সিস্টেমে প্রায় ১৪ হাজার আবেদন পাওয়া গেছে। যার মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে।
উদ্বোধনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তখন অনেকেই হাসা-হাসি করেছেন, বিদ্রুপ করেছেন। কিন্তু তার কথা কতটা স্বার্থক তা পদে পদে বোঝা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এক সময় আমাদের সাবমেরিন কেবল ফ্রি দিতে চেয়েছিল, কিন্তু অজুহাত দেখিয়ে নেয়নি। সেই অন্ধকার অবস্থা থেকে দেশকে বর্তমানে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নাগরিক সেবা জনগণের দোর-গোঁড়ায় পৌঁছে দিতে পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এটা তার প্রমাণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বর্তমানে সবাই জানে ডিজিটাল বাংলাদেশ কী, ডিজিটাল শব্দটা এখন মানুষের মাথায় ঢুকে গেছে। পুলিশও এর থেকে পিছিয়ে নেই। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ডিজিটালাইজড হয়েছি।
নতুন এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের অনলাইন সেবা সম্পর্কে আইজি বলেন, সংশ্লিষ্ট থানা থেকে ক্লিয়ারেন্সের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে যে উপ-পরিদর্শকে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাকে কাজ শেষ করতে যেন নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচদিন সময় লাগে, সেখানে হেল্প ডেস্ক বাড়ানো যায় কিনা তারা বিবেচনা করবে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোথাও যেন বিলম্ব না হয়।
নতুন নিয়মে সবমিলিয়ে আবেদন করার ১০ দিনের মধ্যেই এই ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
পিএম/জিপি/পিসি