একই সঙ্গে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সিম বক্স ডিটেকশন সিস্টেম এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেলফ রেগুলেশন প্রক্রিয়া বন্ধ বা নিস্ক্রিয় সিম/রিম পুনরায় বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি’র সচিব মো. সরওয়ার আলম রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলানিউজকে বলেন, সর্বশেষ কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরওয়ার আলম বলেন, প্রতিটি সিম একটি মূল্যবান জাতীয় সম্পদ। এই সিদ্ধান্তের ফলে অপারেটররা উক্ত সময়ের মধ্যে বন্ধ হওয়া সিম/রিমগুলো বিক্রি করতে পারবে। এতে নম্বর সংকটের সমাধান হবে।
বিটিআরসি’র কর্মকর্তারা বলছেন, ২০০৮ এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত বন্ধ হওয়া প্রায় চার কোটি সিম পুনরায় বিক্রি করতে পারবে মোবাইল অপারেটরগুলো। ২০১৪ সাল পর্যন্ত অবৈধ ভিওআইপিসহ অন্যান্য কারণে অনেক সিম বন্ধ রয়েছে।
নম্বর সংকটে থাকা গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের নতুন নম্বর সিরিজের সমাধান এবং অপারেটরদের বন্ধ নম্বর বিক্রির বিষয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ সিম/রিম পুনরায় বিক্রির অনুমতির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিটিআরসি’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে বিটিআরসি সচিব বলেন, গ্রামীণফোনের নতুন নম্বর সিরিজের জন্য আবেদন পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত হবে।
সরওয়ার আলম জানান, বন্ধ সিম/রিমগুলোর অ্যাকাউন্টে অব্যবহৃত ব্যালেন্সের সুস্পস্ট হিসাব এবং ডাটাবেজ তৈরি ও সংরক্ষণ এবং সমুদয় অর্থ বিটিআরসি অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জমাকৃত অর্থের ব্যবহার, প্রকৃত দাবিদারদের ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া, প্রকৃত দাবিদার নির্ণয়, দাবিহীন অর্থসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আরও অধিক যাচাই বাছাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমআইএইচ/পিসি