ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাবা শিখিয়ে গেছেন কিভাবে অন্যের জন্য ত্যাগ করতে হয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
বাবা শিখিয়ে গেছেন কিভাবে অন্যের জন্য ত্যাগ করতে হয় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে সুস্মিতা সরকার

নারায়ণগঞ্জ: সাত খুনের মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই ঘটনায় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে ডা. সুস্মিতা সরকার। এ রায় দ্রুত কার্যকর হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।

সোমবার(জানুয়ারি ১৬) নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চাঞ্চল্যকর এই সাত খুনের মামলায় ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমার বাবা সারাজীবন ন্যায় বিচারের জন্য কাজ করেছেন।

আজকে তার আত্মা শান্তি পাবে। আমরা খুশি হয়েছি তবে শান্তি পাবো রায় কার্যকর হলে।

সুস্মিতা সরকার বলেন, আমার বাবা নিজেদের জন্য না করতে পারলেও অন্যের জন্য সবসময় করতেন। নিজের জীবনটাও অন্যের জন্য দিয়ে তিনি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন। আমার বাবা যখন মারা যায় তখন আমার পরীক্ষা ছিল। আমার ছোট বোনকে খুব আদর করতেন বাবা। ও এখনো বিশ্বাস করে বাবা ফিরে আসবে।  

সুস্মিতা বলেন, বাবা নিজে খেতে না পারলেও অন্যের জন্য খাবার দিতেন। তিনি কখনো ক্রিমিনাল কেস করেননি তবুও তাকেই ক্রিমিনালদের হাতেই মরতে হলো। আমার বাবা ছিলেন একজন অসম্ভব সৎ মানুষ। আমরা তাকে বলতাম আমাদেরই তো নেই তুমি মানুষকে সবকিছু কিভাবে দাও। বাবা বলতেন, আমি যখন না থাকবো দেখতে তোমাদেরকেও কেউ না কেউ সাহায্য করছে। এখন বাবার কথাগুলোর মর্ম বুঝতে পারি।  

উচ্চ আদালতের প্রতিও আমাদের বিশ্বাস আছে, রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয় এটাই এখন আমাদের প্রত্যাশা।

আজকের এ দিনের জন্য আইনজীবী, বিচারক, গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭

আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।