নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মেজর (অব.) আরিফ হোসেনের ছোট ভাই আসিফ হোসেন (১৯) বলেছেন এসব কথা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে মোবাইল ফোনে আসিফ নিজেকে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেন।
রায় ঘোষণার পর থেকে মেজর (অব.) আরিফের ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের গ্রামের বাড়ি শিলাসী’র ‘আনোয়ার গার্ডেন’ এ সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।
রায়ের পর থেকেই কারো সঙ্গে কথা বলছেন না সেখানে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যরা। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন মা হোসনা আরা বেগম। মুর্ছা যাচ্ছেন বার বার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রায়ের পর থেকেই আশেপাশের লোকজন আরিফের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু দেয়ালঘেরা বাড়ির প্রধান ফটক তালা থাকায় স্বজনেরা ছাড়া আর কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন না।
মেজর (অব.) আরিফ হোসেনের ছোট ভাই আসিফ হোসেনের দাবি, ‘একটি পক্ষ আমার ভাইসহ ওদেরকে ব্যবহার করেছে। তারা সরকারি লোক ছিলেন’।
‘তারা ব্যক্তিস্বার্থে সাত খুনের ঘটনা ঘটাননি। এ রায়ে আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই উচ্চ আদালতে আপিল করবো’।
সূত্র জানায়, আরিফের পৈত্রিক বাড়ি নরসিংদীতে। কিন্তু তার বাবা আনোয়ার হোসেনের চাকরির সুবাদে গফরগাঁওয়ে বসবাস করতেন।
বাবা আনোয়ার হোসেন মারা গেলেও মা ও ছোট ভাইয়ের জন্য পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের সিলাশী এলাকায় মামার বাড়ির সামনে নির্মাণ করেন ‘আনোয়ার গার্ডেন’।
২০১০ সালে এ বাড়িতেই হয়েছিল আরিফের বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। হয়েছিল।
সকালে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের দায়ে প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত। এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমএএএম/এএসআর