ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তির পাঁয়তারার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তির পাঁয়তারার অভিযোগ সাংবাদিকদের সঙ্গে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মতবিনিময়। ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ পাঁয়তারা বন্ধে ২০১০ সালের শিক্ষানীতি বাস্তবায়নেরও দাবি তোলা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ দাবি জানানো হয়।
 
সভায় সংগঠনের সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণে সরকারের সঙ্গে আমরা দ্বিমত পোষণ নয়, একমত পোষণ করি।


 
জাতীয়করণের ক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষকদের পৃথক নিয়োগ, পদায়ন, জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, পরিচালনাসহ তাদের ক্যাডারবর্হিভূত করে চাকরির শর্ত নির্ধারণপূর্বক নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।
 
যেন সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে যোগদান করা কর্মকর্তাদের স্বার্থ ও মর্যাদা কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয়।
 
তিনি বলেন, গত দুই দশক ধরে বিভিন্ন সময় কলেজ জাতীয়করণের সুযোগে বেসরকারি শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
 
২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়। শিক্ষানীতিতে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও দীর্ঘ ৭ বছরেও সংশ্লিষ্ট কলেজ শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালা প্রণীত হয়নি।
 
জাতীয়করণের ক্ষেত্রে বেতনসহ সকল সুবিধা দেওয়া হোক, কিন্তু কোনোভাবেই ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না। যদি তা হয়, তবে ১৫ হাজার কাডারভুক্ত শিক্ষকের মর্যাদাহানি হবে।
 
সংগঠনের মহাসচিব মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, এ নিয়ে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সময় বেঁধে দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো ক্যাডারভুক্তির পাঁয়তারা চলছে।
 
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। অন্যথায় ১৫ হাজার কাডারভুক্ত শিক্ষককে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলারও হুঁশিয়ার দেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
আরইউ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।