সরকারি ছুটির দিনে বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবারে রাজধানীর পাঁচটি স্পটে হকাদের জন্য হলি-ডে মার্কেটের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তার মধ্যে শিল্পকলা একাডেমির এলাকা একটি।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চারপাশে হলি-ডে মার্কেট বসার অনুমতি থাকলেও শনিবার (২১ জানুয়ারি) পুরো রাস্তায় ছিলো হকার শূন্য। শিল্পকলা একাডেমি প্রথম গেইট থেকে মৎস ভবন, দুদকের সামনের রাস্তা পুরো এলাকাতেই কোনো হকার বসতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি ছুটির দিন বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবারে পাঁচটি স্পটে হকাদের জন্য হলি-ডে মার্কেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি এলাকায় হকার বসার অনুমতি থাকলেও হকার যদি না বসে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।
তিনি জানান, মেয়রের নির্দেশে অনুমদিত স্থানে হকার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, সামনের দিনেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেব আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মিডিয়াতে বিজ্ঞপ্তি দেখেছি যে, শুক্রবার ও শনিবার রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে হলি-ডে মার্কেট বসবে। শিল্পকলা একাডেমিতে আজ হকার বসার কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি।
শামসুল আলম নামে পল্টনের এক হকার বাংলানিউজকে বলেন, শিল্পকলা একাডেমিতে হলি-ডে মার্কেটে কিসের ব্যবসা করবো, সেখানেতো কোনো কাস্টমার আসেই না। কাস্টমার না পাইলে সেখানে কি দোকান খুলে বসে থাকবো?
হকার সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক আবুল হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসায়ের উপযোগী না হলে শিল্পকলা একাডেমিতে হলি-ডে মার্কেট করলে হকারদের কি লাভ হবে? তাছাড়া এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন আমাদের সঙ্গে কোনো কথাবার্তা বা বৈঠক পর্যন্ত করেনি। এ ব্যাপারে বেশির ভাগ হকারই অবগত না।
বাংলাদেশ ছিন্নমূল হকার্স সমিতির সভাপতি কামাল সিদ্দিকী জানান, আমরা ফুটপাতে বসা নিয়ে প্রতিনিয়ত পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা মেয়রের সুপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তবে মেয়রের এ সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মোহাম্মদ নাজমুস শোয়েব বাংলানিউজকে বলেন, হলি-ডে তে হকারেরা গুলিস্তান, লিংকরোড, মুক্তমঞ্চ, শিল্পকলা একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হকার বসার নির্দেশনা আছে, তারা না বসলে কারো কিছুই করার নেই। তবে তারা ফুটপাতে বসতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
ওএফ/পিএম/এএটি/