যদি একাধিক গাড়ি ওই পরিবারে থেকে থাকে তাহলে নতুন গাড়ির আর রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বিআরটিকে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনকালে বিষয়টি বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়ে, এখন থেকে কার্যকর করার কথা বলতে শোনা গেছে।
এছাড়া ওবায়দুল কাদের নগরবাসীকে গাড়ি ব্যবহারে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানান।
ছোট গাড়ির সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে- এটা এলার্মিং, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই শহরে পরিবারপ্রতি গাড়ির ব্যবহার সীমিত করতে হবে। কারণ শহরের রাস্তা আর বাড়ছে না।
মন্ত্রী আরও জানান, এ বছরের মাঝামাঝি বিআরটিসি’র বহরে আরও গাড়ি যুক্ত হবে। বাস-ট্রাক মিলিয়ে এ সংখ্যা হবে প্রায় ১১শ।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে জানান, আগামী জুন মাসের মধ্যে চালান আসবে। এছাড়া বেসরকারিভাবে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আরও গাড়ি সংযোজনের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, এ বছরই মোটরযান অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে সংসদে পাশ করা হবে। এখন এটি মন্ত্রীসভায় উঠবে।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাজধানীতে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক যানবাহনের নিবন্ধন দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাইভেট কারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ।
এছাড়া রাজধানীতে নিবন্ধিত জিপের সংখ্যা ২৬ হাজার ৭শ ৫৩টি ও মাইক্রোবাসের সংখ্যা ৬০ হাজার ৭শ ৯৪টি, যেগুলো গণপরিবহনের পর্যায়ে পড়ে না। অন্যদিকে, নিবন্ধিত গণপরিবহনের মধ্যে বাস রয়েছে ২৩ হাজার ২৯টি ও মিনিবাস রয়েছে নয় হাজার ৯শ ৯৯টি।
একটি বেসরকারি সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় প্রাইভেট কারে দৈনিক পৌনে তিন কোটি ‘ট্রিপ’ তৈরি হয়। এগুলোর ধরন এমন যে, দু’তিন কিলোমিটার দূরত্বের জায়গায় কোনো একজনকে দিয়ে আসা আবার গিয়ে নিয়ে আসা। এসব ট্রিপ আকারে চলা প্রাইভেট কার সড়কের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জায়গা দখল করে মাত্র আট থেকে ১০ শতাংশ মানুষ বহন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসএ/এসএনএস