রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিনে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে, সামনে, গেটে ঝুলেও গন্তব্যের দিকে যেতে দেখা গেছে।
ঘোষণা উপেক্ষা করছেন বেশির ভাগ যাত্রী। টঙ্গী থেকে ট্রেনের ছাদে করে কমলাপুর যাচ্ছেন রাসেল। তিনি বলেন, কিছুই করার নেই। এখান থেকে গিয়ে কাজে যোগ দিতে হবে। এখন বাসও পাওয়া যাবে না, তাই বাধ্য হয়েই এভাবে যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী রেলওয়ের পরিবহন পরিদর্শক হামিদুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমার জন্য আমাদের ৭টি বিশেষ ট্রেন রয়েছে। যেগুলো ঢাকা, ময়মনসিংহ ও লাকসাম যাবে। আমরা যাত্রীদের মাইকে এবং আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সতর্ক করছেন। প্রথম পর্বে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আশা করি এবারও কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না।
তিনি বলেন, দুই থেকে তিনটা ট্রেন চলে গেলেই ভিড় অনেকটাই কমে যাবে। তাই যাত্রীদের বলবো আপনারা সতর্ক হয়ে ধৈর্য ধরে গন্তব্যে যান। তাড়াহুড়ো করে দুর্ঘটনার শিকার হবেন না।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের। রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতে শেষ হয়।
চার দিন বিরতির পর শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের। আখেরি মোনাজাতে রোববার (২২ জানুয়ারি) শেষ হবে এবছরের বিশ্ব ইজতেমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এমএইচকে/বিএস