ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দুর্ভোগেই পুণ্য’ বললেন ইজতেমা ফেরত মুসল্লিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
‘দুর্ভোগেই পুণ্য’ বললেন ইজতেমা ফেরত মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত শেষে ফিরছেন মুসল্লিরা

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান (টঙ্গী, গাজীপুর) থেকে: শেষ হলো ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের আখেরি মোনাজাত। এবার বাড়ি ফেরার পালা। মুসল্লিদের ভিড়ে পা রাখার জায়গা নেই টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে। প্রধান সড়ক ও ফুটপাতগুলোতেও একই অবস্থা। বাড়ি ফেরা মুসল্লিরা গণপরিবহনের অভাবে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। তবে, কেউ কেউ এই দুর্ভোগকে পুণ্য ভেবে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন। 

রোববার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে শুরু হয়ে মোনাজাত শেষ হয় ৩৪ মিনিট পর। তারপর থেকেই শুরু হয় বাড়িফেরা লাখো মুসল্লির দুর্ভোগ।

 

ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে চলাচলের একমাত্র বাহন পিকআপ বা ভ্যান। আর সেটাতে উঠতেও মুসল্লিদের নামতে হচ্ছে কঠিন প্রতিযোগিতায়। থামতেই যাত্রীতে ভরে যাচ্ছে যানবাহনগুলো। আবার অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও পাচ্ছেন না গাড়ি।

এমনই একজন রাজশাহীর আব্দুর রহমান (৪৫)। ভিড় হবে জেনে মোনাজাত শেষ হতে না হতেই এসেছেন রাস্তায়। তবুও মেলেনি কোনো যানবাহন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই যে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি, এতেই আমাদের পুণ্য হচ্ছে। যদি আরামে বাড়ি ফিরে যেতাম তাহলে তো বুঝতেই পাড়তাম না আল্লাহ্‌র কাজে এসছিলাম। এখানে দুর্ভোগই পুণ্য।  

ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত শেষে ফিরছেন মুসল্লিরাসরেজমিনে দেখা যায়, ট্রেনের ভেতরে, ছাদে, সব জায়গায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ট্রেনের ছাদেও একজন অপরজনকে ধরে ঝুলে আছেন। আবার কিছু মানুষ ভ্যান, রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাকযোগেও ঘরে ফিরছেন। তবে, পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় ঢাকার আশপাশের অধিকাংশ মানুষকে হেঁটেই ঘরে ফিরতে দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে, মুসল্লিদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে গলাকাটা ভাড়া। রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থেকে ভ্যান নিয়ে এসেছেন সাকিল। ভোর থেকে ভ্যান চালাচ্ছেন বিমানবন্দর-টঙ্গী সড়কে। তিনি বলেন, অন্যান্য দিনের ভাড়ার সঙ্গে তো আজকের তুলনা হবে না। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার টাকা আয় করেছি।  

বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি ফিরছেন মুসল্লিরাটঙ্গী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, টঙ্গী স্টেশনে অধিকাংশ ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবুও ভিড় কমানো যাচ্ছে না। হাজারো যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছে। আস্তে আস্তে সময় যত গড়ছে, মানুষের ভিড় তত বেশি হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭ 
এসটি/আরআর/পিসি


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।