রোববার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে শুরু হয়ে মোনাজাত শেষ হয় ৩৪ মিনিট পর। তারপর থেকেই শুরু হয় বাড়িফেরা লাখো মুসল্লির দুর্ভোগ।
ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে চলাচলের একমাত্র বাহন পিকআপ বা ভ্যান। আর সেটাতে উঠতেও মুসল্লিদের নামতে হচ্ছে কঠিন প্রতিযোগিতায়। থামতেই যাত্রীতে ভরে যাচ্ছে যানবাহনগুলো। আবার অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও পাচ্ছেন না গাড়ি।
এমনই একজন রাজশাহীর আব্দুর রহমান (৪৫)। ভিড় হবে জেনে মোনাজাত শেষ হতে না হতেই এসেছেন রাস্তায়। তবুও মেলেনি কোনো যানবাহন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই যে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি, এতেই আমাদের পুণ্য হচ্ছে। যদি আরামে বাড়ি ফিরে যেতাম তাহলে তো বুঝতেই পাড়তাম না আল্লাহ্র কাজে এসছিলাম। এখানে দুর্ভোগই পুণ্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রেনের ভেতরে, ছাদে, সব জায়গায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ট্রেনের ছাদেও একজন অপরজনকে ধরে ঝুলে আছেন। আবার কিছু মানুষ ভ্যান, রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাকযোগেও ঘরে ফিরছেন। তবে, পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় ঢাকার আশপাশের অধিকাংশ মানুষকে হেঁটেই ঘরে ফিরতে দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, মুসল্লিদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে গলাকাটা ভাড়া। রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থেকে ভ্যান নিয়ে এসেছেন সাকিল। ভোর থেকে ভ্যান চালাচ্ছেন বিমানবন্দর-টঙ্গী সড়কে। তিনি বলেন, অন্যান্য দিনের ভাড়ার সঙ্গে তো আজকের তুলনা হবে না। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার টাকা আয় করেছি।
টঙ্গী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, টঙ্গী স্টেশনে অধিকাংশ ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবুও ভিড় কমানো যাচ্ছে না। হাজারো যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছে। আস্তে আস্তে সময় যত গড়ছে, মানুষের ভিড় তত বেশি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসটি/আরআর/পিসি