রোববার (২২ জানুয়ারি) পশ্চিম আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিজস্ব ভবনে প্রথম অফিস করার দিনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা ভিত্তিপ্রস্তর করে যাচ্ছি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া ভোট কারচুপিও হয়নি।
নতুন ভবনে তড়িঘড়ি করে ওঠা হলো কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিজের ভবন ছিল না। ভাড়া করে ভবনে কাজ চালাতে হয়েছে। জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ফাইল বারান্দায় রাখতে হয়েছে। তাই এখানে চলে এসেছি। একটা ভবনের অনেক কাজ থাকে। এটাতে আরো অনেক কাজ করতে হবে। ধীরে ধীরে তা সম্পন্ন করা হবে।
২০০৭ সালে পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ২ একর ৩৬ শতাংশ জমি নির্বাচন কমিশনকে বরাদ্দ দেয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ণ মন্ত্রণালয়। ২১৩ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ ভবন নির্মাণের কাজ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের কিছু স্থাপনা সরাতে দেরি হওয়ায় ভবনটির কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে।
ইলেকশন রিসোর্স সেন্টার (ইআরসি) নামে ইসির নিজস্ব ভবনটির দু’টি অংশ রয়েছে। যার একটি অংশ হচ্ছে ১২তলা বিশিষ্ট ইটিআই (নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট) ভবন। অন্যটি হচ্ছে ১১তলা বিশিষ্ট বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন-বিইসি ভবন। বিইসি ভবন নির্মাণের মেয়াদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু বর্তমান কমিশন তার মেয়াদেই নতুন ভবনে অফিস করবে বিধায় শেষ দিকে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করা হয়।
১৯৭৩ সাল থেকে শের-ই-বাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের ৫ ও ৬ নম্বর ব্লক ভাড়া করে কাজ চালিয়ে আসছিল নির্বাচন কমিশন। এর আগে পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক নির্বাচন অফিস ছিল মোমেনবাগে। সেটা মুক্তিযুদ্ধের সময় বোমা মেরে পুড়িয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। এতে এক নৈশপ্রহরী নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস