রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্যরা।
আলোচনার সূত্রপাত করেন বাগেরহাটের সংসদ সদস্য মীর শওকত হোসেন বাদশা।
সৌরভের পায়ে গুলি করা প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, একজন সংসদ সদস্য কোনো কিশোরকে গুলি করতে পারেন না। অথচ সেই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জেলে দেওয়া হয়েছে। আসলে তিনি ইয়েলো জার্নালিজমের হাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন। সেদিনের সেই ঘটনায় লিটন অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছিলেন।
একজন সংসদ সদস্যের (এমপি লিটন) বাড়ির মধ্যে ঢুকে তাকে হত্যা করা হলো। তাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের ক্ষোভ আছে। আজ হয়তো সেসব কথা বলা ঠিক হবে না, যোগ করেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, তারপরেও বলছি তাকে নিয়ে যখন খেলা করা হলো তখন আমরা কিছুই করতে পারিনি। যার ফলে তিনি হত্যার শিকার হন। আমাদের আসলে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, সাহস নিয়ে দাঁড়াতে হবে।
জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি বলেন, সৌরভবকে গুলি করা নিয়ে লিটনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা হয়। পরে তাকে আত্মসমর্পণের আদেশ দেওয়া হয়। পরে লিটনকে গ্রেফতার করা হয়। আমি কারাগারে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি তখন আমাকে বলেছিলেন, ‘আপা সত্যি শিশুকে গুলি করি নাই, আমি উপরে গুলি ছুড়েছিলাম’। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার তদন্তেও কিছু পাওয়া যায়নি। তার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হয়। আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম তার অস্ত্রের লাইসেন্স ফেরত পাওয়ার কিন্তু পারি নাই।
মাহবুব আরা গিনি আরও বলেন, জামায়াত-শিবিরের যারা তাণ্ডব চালিয়েছিল, মানুষ হত্যা করেছিল, তাদের জামিন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু লিটনকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয়নি। লিটন জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন তিনি সঠিক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসএম/এসকে/এমজেএফ