নিহত হাওয়া তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী আমীর হোসেনের স্ত্রী এবং দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দুলপুর ইউনিয়নের চমকখোলা গ্রামের মৃত মোর্শেদ মিয়ার মেয়ে। আটক সাঈদ একই গ্রামের সুনো মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হাওয়া বেগমের পরিবার বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ির লোকদের দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেন। বিয়ের পর হাওয়া বেগমের স্বামী বিদেশ চলে যান। পরে শাশুড়ি বানু বেগম, ননদ রুবী আক্তার এবং ভাশুরের ছেলে শামীম যৌতুকের জন্য প্রায়ই হাওয়াকে নির্যাতন করতেন। পরে শ্বশুরবাড়িতে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য হাওয়া বেগম নিজ বাড়ি থেকে ৮ লাখ টাকা এনে দেন। কিন্তু নতুন ভবন নির্মাণ করার পর হাওয়া বেগমকে ওই ভবনে বসবাস করতে দেওয়া হত না। উল্টো ঘরের জন্য নতুন ফার্নিচার কিনতে আবার টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয় তাকে।
হাওয়া বেগম বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে বাড়ির পাশের রাস্তায় মরদেহ ফেলে বাড়িতে তালা মেরে সবাই পালিয়ে যান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত হাওয়ার মা পরশী বেগম বলেন, মেয়ের সুখের জন্য বিয়ের সময় দেড় লাখ টাকা দিয়ে জামাতাকে বিদেশ পাঠাই। বাড়ি পাকা করার জন্য আরো ৮ লাখ টাকা দিয়েছি। আর সেই পাকা ঘরে আমার মেয়েকে থাকতে না দিয়ে অনেক নির্যাতন করেছে। আবার ফার্নিচার কেনার টাকার জন্য নির্যাতন করে আমার মেয়েকে দিনেদুপুরে হত্যা করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
আরএ