রাজশাহীর পুঠিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আসলাম হোসেন জানান, আটক করার পর মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে পুঠিয়ার বাঁশবাড়িয়া, পশ্চিমভাগ এবং গোটিয়া গ্রামে ঘুরে আদিবাসী ও বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানোর ঘটনার তদন্ত করা হয়। এ সময় মুসার হাতে নিহতদের স্বজনরা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এদিকে, অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আদিবাসীদের সঙ্গে জমি বিনিময় করে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী থানার ইসলামপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে মুসা ও তার আত্মীয়দের নিয়ে পুঠিয়ায় এসে বসবাস শুরু করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসার বয়স ছিল ২০ থেকে ২২ বছর। ওই বয়সেই মুসা পাকিস্তানের পক্ষে এলাকার যুবকদের নিয়ে একটি দল গঠন করেছিলেন। তার নেতৃত্বে এ দল এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালায়। একাত্তরের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পুঠিয়া আক্রমণ করে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে মুসা হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন।
তিনি ১৯ এপ্রিল হানাদার বাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য নিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে যান। সেখান থেকে তারা ২১ জনকে আটক করেন। তাদের নিয়ে রাখা হয় গোটিয়া গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বাড়িতে। সেখানে দিনভর নির্যাতন করে ১৭ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর চারজনকে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসএস/এসআই