রোববার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে শাহ মখদুম থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। এর আগে বিকেলে শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগরীর শাহ মখদুম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতার তোহরাকে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় তার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। রোববার শুনানি শেষে আদালতে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যকর্মী তোহরা বেগমের বাড়ি মহানগরীর ডাশমারী এলাকায়। তিনি ওই এলাকার হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী। সন্ধ্যায় তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নবজাতকটি উদ্ধারে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
এছাড়া নবজাতক চুরি করে পালিয়ে যাওয়া অজ্ঞাত নারীর তথ্য মিলবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে, নবজাতক চুরির ঘটনায় পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) নামের একটি এনজিও পরিচালিত ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম চন্দ্র সাহা জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা শাহিদা বেগমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে কমিটির চার সদস্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করেছেন। চুরি হওয়া নবজাতকের মা মুক্তি বেগম এখনও চিকিৎসাধীন থাকায় তার সঙ্গেও কথা বলেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে রাজশাহীর নওদাপাড়া আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে চুরি যাওয়া শিশুর নানী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে স্বাস্থ্যকর্মী তোহরা বেগমকে আটক করে পুলিশ।
পবার চর শ্যামপুর এলাকার দিনমজুর নাসির উদ্দিন ওই নবজাতক শিশুটির বাবা। তার স্ত্রী মুক্তি বেগম বর্তমানে নওদাপাড়ার আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসএস/জেডএস