সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কমিশনের নির্ধারিত বৈঠকে নতুন করে পাঁচটি ইউনিটের অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি রুখতে দুদক কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে আনতে কমিশন সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। সোমবার কমিশনের নির্ধারিত বৈঠকে নতুন করে পাঁচটি ইউনিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, দেশের সব স্থলবন্দর, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদফতর।
পাঁচটি ইউনিটের নেতৃত্ব দেবেন দুদকের পাঁচ পরিচালক। তিন সদেস্যের প্রতিটি দলে একজন করে উপরিচালক ও সহকারী পরিচালক রয়েছেন। অন্যদিকে দুদকের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী প্রত্যেকটি ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন বলেও তিনি জানান।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, এ কে এম জায়েদ হাসান খানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে দেশের সব স্থলবন্দর, বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, খন্দকার এনামুল বাছিরের নেতৃত্বে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদফতরে নজরদারি করা হবে।
এ বিষয়ে দুদকের সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় দুর্নীতি রোধে আরও নতুন কমিটি করা প্রয়োজন। এরমধ্যে অতীতে যে কমিটি করা হয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে যেগুলো করা হয়নি সেগুলোকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি রুখতে গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে কমিশনের নির্ধারিত বৈঠকে ১৪টি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৪টি প্রতিষ্ঠান হলো, তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, সিভিল এভিয়েশন, বাংলাদেশ বিমান, কাস্টমস্ ভ্যাট এক্সারসাইজ, আয়কর অধিদফতর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ, মহাহিসাব নিরীক্ষক অফিস (এজি অফিস), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ওয়াসা, ঢাকার সব সাব রেজিস্ট্রার অফিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসজে/আরআর/এমজেএফ