বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মির্জা আজমের উপস্থিতিতে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে।
এক হাজার এক টাকার প্রতীকী মূল্যে হস্তান্তর করা হলেও বিজেএমসিকে অর্থ মন্ত্রণালয় দেবে এক হাজার ৮৫ কোটি টাকা।
জমি হস্তান্তরে অংশগ্রহণ করেন বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব কাজী আকতার উদ্দিন আহমেদ। গুলশানের সাব-রেজিস্ট্রার কামাল হোসেন খান এবং বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান ওই জমির দলিলে সই করে তা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দেয়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসুসহ দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খেলার মাঠ ও জিমনেসিয়াম নির্মাণের জন্য গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। অর্থ মন্ত্রণালয় জমির মূল্য বাবদ বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে এক হাজার ৮৫ কোটি টাকা দেবে।
তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠতে প্রয়োজন খেলার মাঠ, মুক্তভাবে মুক্ত আকাশের নিচে নির্বিঘ্নে ছোটাছুটির সুযোগ। সে কথা বিবেচনায় রেখেই প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব উদ্যোগ ও নির্দেশনায় এ জমিতে হচ্ছে খেলার মাঠ।
পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও ভাতা পরিশোধ, পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্ধ, পাটকলগুলোকে উৎপাদনমুখী করতে ও যথাসময়ে পাট ক্রয়ের জন্য এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোট অর্থের মধ্যে ৪৬০ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেএমসি।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, বিজেএমসির তারল্য সংকট আছে, এটা মোকাবেলায় গুলশানের জমিটি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দিতে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে তারল্য সংকট কেটে যাবে।
গুলশানের ওই জমিতে বর্তমানে কয়েকটি ভবন বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে বলে জানান বিজেএমসির চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এটি