স্টলগুলো গুড় আর ঘন দুধে ভেজানো চিতই, পুলিতে সাজানো। আরও আছে ভাপা, প্লেটে সাজানো আন্দেশা, কুলি, পাটিসাপটা, চন্দ্রপুলি, ছড়া, দুধপুলি, নকশি, পাকোয়ান, ছাঁচ, লবঙ্গ লতিকাসহ নানা বাহারি পিঠা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় পিঠা উৎসব জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় দর্শনার্থী ও পিঠা প্রেমীদের ভিড়। সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বেলুন উড়িয়ে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
সপ্তাহব্যাপী গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবে বিভিন্ন জেলার ৪০টি স্টল পিঠার পসরা নিয়ে বসেছে। কেউ কেউ স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে গরম গরম ভাপা, চিতই, ঝুড়ি পিঠার স্বাদ নিচ্ছেন।
পিঠা উৎসবে আগত তরুণীরা শাড়ি ও তরুণদের মধ্যে অনেকেই পাঞ্জাবি পরে এসেছেন। সবার মধ্যে একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা গেছে।
ঢাবির শিক্ষার্থী তাহিরুণ তানহা তার বন্ধুদের নিয়ে পিঠা উৎসবে এসেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শীত এলে পিঠার জন্য মন খারাপ করতে থাকে। কোথাও পিঠা মেলা হলে আমি চলে আসি। ক্ষীর দিয়ে বানানো পাটিসাপটা আমার অনেক প্রিয়। সবাই মিলে চিতই আর পাটিসাপটা খেলাম। আর কয়েকটি নকশি পিঠা নিয়ে যাব।
পিঠা উৎসবে পাঁপড়, ফুলঝুরি, বরফি, বড়া, ভাপাপুলি, মেরা, মালপোয়া, রস পিঠা, সিদ্ধকুলি, কলা পিঠা, নারকেল পিঠা, দুধরাজ, বিবিয়ানা পিঠাসহ (জামাই ভোলানো পিঠা) নানা বাহারি পিঠা পাওয়া যাচ্ছে।
কুমিল্লা ঐতিহ্যবাহী পিঠাঘরের বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম রানা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী পিঠা নিয়ে প্রতিবারই এ উৎসবে হাজির হই। ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাই। আশা করি, আগামী সাতদিনে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
স্টলগুলো ঘুরে দেখা গেল, ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন আইটেমের পিঠা পাওয়া যাচ্ছে। তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ উৎসবে পিঠার দাম তুলনামূলক বেশি।
এদিকে পিঠা উৎসব নিয়ে জাতীয় পিঠা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ম. হামিদ বাংলানিউজকে বলেন, বাঙালি ঐতিহ্যের মধ্যে পিঠা-পার্বণ অন্যতম। আমরা বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলোকে রাজধানীবাসীর কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন করেছি। এটা এক ধরনের শিকড়ে ফেরার আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এমসি/আরআর/পিসি