ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অভিজ্ঞ বিচারপতিদের মৃত্যুতে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
‘অভিজ্ঞ বিচারপতিদের মৃত্যুতে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত’

ঢাকা: বিশেষ বিষয়ে অভিজ্ঞ বিচারপতিদের মৃত্যুতে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে প্রয়াত তিন বিচারপতির স্মরণে শোকসভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্ট জাজেস কর্নার এ শোকসভার আয়োজন করে।

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ জানুয়ারি  সাবেক প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন ইন্তেকাল করেন। আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ০১ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন। আর হাইকোর্টের বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমীন সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন,‘বিচারপতি রুহুল আমিন একজন প্রকৃতপক্ষে ভদ্রলোক। আমরাতো অযথা রেগে যাই। তিনি কখনো বিরক্তি প্রকাশ করেননি। অনেককে দেখেছি, বিরক্তি প্রকাশ করতে। আমার জানামতে, তার মধ্যে একেবারেই বিচারপতির সব গুণাবলী ছিলো’।

প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর তার আইনজীবী ছেলেকে বাসা থেকে আলাদা করেন বিচারপতি রুহুল আমীন। এ বিষয়ে বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, ‘তার এক ছেলে প্র্যাকটিসে (আইন পেশায়) আছেন। আমরা কোনোদিন আকারে ইঙ্গিতে এটা বিচারপতি রুহুল আমীনকে বুঝতে দেইনি। আমরা বলিনি, তিনি ছেলেকে ফেভার বা ডিসফেভার করছেন। কিন্তু তার ছেলেকে বাসা থেকে আলাদা করেছেন’।

বিচারপতি বজলুর রহমানের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ছাত্রজীবনে সবার জন্য সব কিছু করেছেন। ছাত্রদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু নিজের জন্য, পরিবারের জন্য কিছু রেখে যাননি। শুধু সবার জন্য করেই গেছেন বিচারপতি বজলুর রহমান’।

বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর বিষয়ে বিচারপতি  এস কে সিনহা বলেন, ‘আমার জানামতে, তার পরিবারের মধ্যে অন্য কেউ জজ ছিলেন না। আমি বলবো (তার মৃত্যুতে) বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এখন আজকের দিনে সিভিল ল’য়ের (দেওয়ানি আইন) ব্যাপারে প্রকৃতপক্ষে আমাদের খুবই বিচারকের ইয়ে (স্বল্পতা) পাওয়া যায়। তিনি থাকলে আমাদের লাভ হতো। তার রক্তে ছিলো সিভিল ল’।


প্রধান বিচারপতি শোকসভায় বিচারকদের উপস্থিতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু আমি মর্মাহত আমাদের বিচারকদের উপস্থিতি দেখে। এটা খুবই দুঃখজনক’।

সুপ্রিম কোর্ট জাসেস কর্নারের সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম শোকসভা পরিচালনা করেন।

আলোচনায় অংশ নেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিন, হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি আওলাদ আলী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন, বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।