গত ১৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) স্থানীয় সরকার রাজশাহী বিভাগের পরিচালককে বিষয়টি তদন্ত করতে এই চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপত্তি ওঠার পর গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন তিনি।
রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি এই চিঠি দেন।
ওই চিঠির প্রেক্ষিতেই রাসিকের অস্বাভাবিক কর বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় উপ-সচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপিটি তিনিও পেয়েছেন বলে জানান।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপির অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করা প্রয়োজন। তদন্তের পর যত দ্রুত সম্ভব তার প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতেও বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে দেওয়া ওই চিঠিতে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন- স্থানীয় সরকারের বিধি অনুসরণ করে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা উচিত।
এই বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জটিলতা সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে।
তদন্তপূর্বক মন্ত্রণালয় হোল্ডিং ট্যাক্স বিষয়ে নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সিটি করপোরেশন যেন হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় বন্ধ রাখে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসএস/জিপি/আরআই