সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সিলেট জেলা প্রশাসন থেকে এক সদস্যের এবং পুলিশ প্রশাসন তিন সদস্যের পৃথক দু’টি কমিটি গঠন করেছে।
কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন।
সিলেট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, পাথর কোয়ারিতে নিহতের ঘটনায় বিভ্রান্তি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসনাতকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান ও ওসি (এলআইবিজিবি) আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, পাথর কোয়ারিতে নিহত দু’জনের মরদেহ নেত্রকোনা পৌঁছেছে। তবে আর কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, কোম্পানীগঞ্জে নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া পাথর উত্তোলন বন্ধে বিজিবি, পুলিশ নিয়ে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হবে উল্লেখ করে ডিসি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে দায়ী ব্যক্তি যারাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে কোম্পানিগঞ্জের আরফিন টিলার আঞ্জু মিয়ার কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনে গর্তে নামেন ১৩ শ্রমিক। এদের মধ্যে মাটি চাপায় ৬ জনের মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেন স্থানীয়রা। তবে তড়িঘড়ি করে মরদেহগুলো নিহতদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
মাটি চাপায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয়দের মধ্যে দুই ধরনের তথ্যে দিনভর বিভ্রান্তি চলছিল। স্থানীয়রা ৬ জন নিহতের দাবি করলেও পুলিশ বলছে মারা গেছেন দুই শ্রমিক।
**কোম্পানীগঞ্জে পাথর কোয়ারিতে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
এনইউ/জেডএস