বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে দ্বিতীয় শিফটে যশোর সরকারি এমএম কলেজ, ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ ও যশোর শিক্ষা বোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
যশোরের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পরিদর্শনকালে মাশরাফি নামে এক পরীক্ষার্থীর সন্দেহজনক আচরণ দেখে শরীর তল্লাশি করে একটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস এবং কানের ভেতর থেকে ক্ষুদ্রাকার একটি যন্ত্র উদ্ধার করেন।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে পরীক্ষার্থী মাশরাফিকে ১৮৬০ সালের প্যানেল কোডের ৮৮ ধারায় ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং বহিরাগত রায়হান সিদ্দিক, মাহবুবুর রহমান ও সাজেদুর রহমানকে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ ধারায় দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এছাড়াও ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরে প্রশ্নপত্র পাঠানোর প্রস্তুতিকালে ওই কলেজের শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসকে একই ধারায় দুই বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট আরিফুর রহমান।
অন্যদিকে, যশোর শিক্ষা বোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালে কানে ডিভাইস ব্যাবহারের দায়ে সোহান নামে এক পরীক্ষার্থীকে ১৮৬০ সালের প্যানেল কোডের ৮৮ ধারায় ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত আরা খানম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
ইউজি/এসএইচ