বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজির হোসেন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি বলে তদন্ত কমিটি মত দিয়েছেন।
এছাড়া উপজেলার থানাকান্দি থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত এলাকার তিতাস ও পাগলা নদীপথে কুচুরিপানা, গাছ ও ডালপালা দিয়ে অবৈধভাবে তৈরি করা মাছ ধরার ঘের বা খেউয়ের বিষয়টি উঠে এসেছে। কৃষ্ণনগর এলাকায় পাগলা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নিচে পিলার সংলগ্ন এলাকায় পানির নিচে পুঁতে রাখা গাছের ডাল ও স্টিলের পাইপের বিষয়টিও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা নদীতে থাকা মাছের অবৈধ ঘের বা খেউ প্রসঙ্গে ইতোমধ্যে প্রশাসন মামলা দায়েরের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। মাছের ঘের দ্রুত সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নৌপথে যাত্রী বহনকারী নৌকাগুলোর ফিটনেস যাচাই করার জন্য বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নবীনগর উপজেলার পাগলা নদীতে বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেড় শতাধিক জেএসসি পরীক্ষার্থী নিয়ে নৌকা ডুবে নাদিরা আক্তার ও সোনিয়া আক্তার নামে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
আরবি/