শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই পুকুরে মরদেহটি ভেসে ওঠে। পরে খবর পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
বর্তমানে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, আনিছারকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে মরদেহ পুকুরের মধ্যে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, নিহত আনিছার রহমান তাবলীগ জামাতের কর্মী ছিল। এছাড়া ভ্যান চালিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন। দু’দিন আগে জামাত থেকে এসেছিলেন তিনি।
শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হন আনিছার রহমান। এর পর থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দুপুরের জুমআ’র নামাজের পর বাড়ি পাশের পুকুরে একটি বস্তা ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।
বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় আনিসার রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি।
জানতে চাইলে বাগমারা থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পরই বোঝা যাবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কী না। তাই এখনই আনিছারকে হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবেনা।
এজন্য সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এই ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এসএস/এসএইচ