আবদুল মান্নান দুর্গাপুর উপজেলা কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নের রাতুগ্রাম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সালিশে পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছে।
গৃহবধূর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তার শ্বশুর আবদুল মান্নান তিন মাস থেকে তাকে নানানভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি কাউকে কিছুই জানাননি।
কিন্তু শ্বশুরের অশালীন আচরণে শেষ পর্যন্ত তিনি তার স্বামী শরিফুল ইসলামকে বিষয়টি খুলে বলেন। পরে বুধবার (০৮ নভেম্বর) রাতে শ্বশুর আবারও তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ পরিস্থিতিতে ওই গৃহবধূ প্রতিকার চেয়ে গ্রাম্য প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে, গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে রাতুগ্রামের গ্রাম্য মাতব্বররা ও ইউপি সদস্যের উপস্থিতে সালিশ ডাকা হয়।
তবে বৈঠকে শ্বশুরকে হাজির করা যায়নি। এ সময় সালিশি বৈঠকে পুত্রবধূর দেওয়া তথ্যে গ্রামের মাতব্বর মামুন সরকার, সোবাহান খাঁ, আব্দুল কাদেরসহ সালিশি বৈঠকের লোকজন আব্দুল মান্নানকে একঘরে করার সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে এলাকার মসজিদে নামাজ পড়া, টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানান।
এছাড়া একঘরে থাকা অবস্থায় স্থানীয় কোন ব্যক্তি যদি আব্দুল মান্নানের সাথে কথা বলে তাহলে তাকে ৫শ’ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে সালিশি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এসএস/আরআই