শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বালুয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা লিটন মিয়া মামলাটি দায়ের করেন। সোহান সাতবুড়িকান্দা গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুর ইলী মামলা দায়েরের বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।
সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজছাত্রীর নিজ বাড়ির আমগাছ থেকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি বাংলানিউজকে বলেন, ওই ছাত্রীর জামার ভেতর হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুট থেকে জানা যায়, সোহান নামে একজনকে ভালোবাসতো রুমা। যে তার সঙ্গে প্রতারণা করে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করতে চলেছিল বলে চিরকুটে উল্লেখ রয়েছে। আজ (শুক্রবার) সেই মেয়েটির সঙ্গে সোহানের বিয়ের কথা ছিল।
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘তিন বছরের প্রেম তুমি কী করে তিন দিনে ভুলে গেলে। তুমি পারলেও আমি পারছিলাম না। তাই এই পথ বেছে নিলাম। ’
রুমার আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সোহানের বাড়ির লোকজন আত্মগোপন করেছে বলেও জানান ওসি।
রুমার বাবা লিটন তার মেয়ের সঙ্গে সোহানের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, কিছুদিন আগেও রাতের বেলা লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে সোহানের বাবা মঞ্জিল তাদের হুমকি-ধামকি দেন। এর কিছুদিন পর তারা সোহানের জন্য অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। শুক্রবার ছিল সোহানের বিয়ের দিন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সোহানকে গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
***প্রেমিকের বিয়ের দিনে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ