শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শেরকোল পাঁচবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-মাইক্রোবাসের চালক বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার খামারবাড়ি গ্রামের মৃত চান মিয়ার প্রামাণিকের ছেলে পিন্টু মিয়া (২৬), গাবতলী উপজেলার জায়গুলি গ্রামের বাদলের ছেলে আদনাত (০২) ও দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মাদারপুর গ্রামের মৃত ফারুক হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৫০)।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় একজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে নিহতদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম ও নাটোর ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে নাটোর থেকে রাজশাহী প্রতিদিন নামে যাত্রীবাহী একটি বাস রংপুর যাচ্ছিল। বাসটি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শেরকোল পাঁচবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসের চালকের (৪০) মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে তিনজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহুরুল ইসলাম নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
তারা আরো জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সিংড়ায় অবস্থানরত তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধার তৎপরতা তদারকি করেন। ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ১১ নভেম্বর, ২০১৭/আপডেট: ১৫১২
আরএ