শনিবার (১১ নভেম্বর) গঙ্গাচড়া ও রংপুর কোতয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ ও সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জাকির হোসেন বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের অভিযান শুরুর পর পাগলাপীর, শলেয়াশাহ, ঠাকুরবাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকায় থমথমে ও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্য রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউর রহমান বলেন, শুক্রবার রাত থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের শুকনো খাবারের পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দুই বান্ডেল করে টিন ও তিন হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে শনিবার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দলের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এর আগে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর সদর, তারাগঞ্জ ও গঙ্গাচড়ার সংযোগস্থলে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশও যায় ঘটনাস্থলে।
গ্রামবাসী দুইপক্ষ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।
তবে এর বেশ কয়েকদিন আগেই টিটু দাস নামে নারায়ণগঞ্জে থাকা এক যুবক উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দেয়। এ নিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে গত ৭ নভেম্বর বিক্ষোভও করেন এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৭
এমএ/