মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাগুরা জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এটি নির্মাণে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অনেক আগে থেকে কামারখালী পর্যন্ত রেলপথটি সচল ছিল। কিন্তু পরে বন্ধ হয়ে যায়। এখন আমরা মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করবো। আমরা রেলপথটি নির্মাণের জন্য বৈদেশিক অর্থায়ন পাওয়ার চেষ্টা করছি। যদি না পাই তবে দেশীয় অর্থায়নেই তা বাস্তবায়ন করবো। রেলপথটুকু নির্মাণ করতে পারলে পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা ও মাগুরার মধ্যে রেল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। এই অঞ্চলের অধিক সংখ্যক প্রান্তিক মানুষ সরাসরি সুফল ভোগ করবেন। তাই দারিদ্র দূর করার দিক থেকেও এই প্রকল্পটি সহায়ক হবে। ’
রেলমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে। ১৮৬২ সালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে জগতি পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১১ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে রেলপথের যাত্রা শুরু। এরপর ১৮৭০ সালে গড়াই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে ১৮৭১ সালের ০১ জানুয়ারি তা গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের বাঁশ, বেত, পাট বহনের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৩২ সালের ০১ জানুয়ারি রাজবাড়ীর কালুখালী ঘাট পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করা হয়।
একই সময়ে আরও একটি শাখা লাইন মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। এ সময় লাইনটি এলাকার আদিবাসীদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রায় ১০০ বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে রেলপথের মাধ্যমে এলাকাবাসী উপকৃত হতেন।
কিন্তু ৪৬ বছর আগে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন এই শাখা লাইনটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেই আলোকে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। যাতে করে পদ্মাসেতু হয়ে মাগুরার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এমআইএস/জেএম