একই সময়ে বাংলাদেশে আসছেন চীন, জাপান, জার্মানি ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও।
সফরে মেঘারিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
এর আগে ৩০ অক্টোবর ইইউ কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলিয়ানিডস ৩ দিনের সফরে বাংলাদশে আসেন।
এবারের ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক ভূমিকা রাখেন। ইইউ ইতিমধ্যে মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং মিয়ানমারের সেনা কর্তাদের ইউরোপ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। ইইউ যে আহ্বান জানিয়েছে তাতে মিয়ানমার সাড়া না দিলে দেশটির বিপক্ষে আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ২৫ আগস্টের পর থেকে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
কেজেড/এসএইচ