রোববার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকেই এ দৃশ্য দেখা যায়। তাই বাধ্য হয়ে কাঁচপুর ব্রিজ থেকে শুরু করে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মানুষ রিকশা ও লেগুনায় যাতায়াত করছেন।
জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে কোনো গণপরিবহন সকাল থেকে ঢাকামুখী হয়নি। তবে কয়েকটি বাস মাঝে মাঝে দেখা গেলেও তাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। একই চিত্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও।
এদিকে সকাল থেকে শহরের কোনো বাসও ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। সকাল থেকে শীতল পরিবহনের বাস চলাচল করলেও সকাল সাড়ে ১১টায় পরিবহনটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একই অবস্থা সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, ফতুল্লায়ও। এসব স্থান থেকেও কোনো গণপরিবহন সকাল থেকে ঢাকা ছেড়ে যায়নি।
জেলা বাস সার্ভিস মালিক সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিএনপির সমাবেশে অংশ নেওয়া উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা যানবাহনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করতে পারে-এমন আশঙ্কায় বাস সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে জেলা ট্রাফিক বিভাগ, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তাই যানবাহনের চলাচলের ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে তারা শুধু এতটুকুই বলেন, ‘যানবাহন বন্ধ কেন সেটা বলতে পারি না, এটা তো পরিবহন মালিকদের ব্যাপার। ’
এদিকে বাস না পেয়ে ট্রেনে ঢাকার পথ ধরেছেন অনেক যাত্রী। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেনেও শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এমএ