রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে নগরে ভবন ব্যাংক ফ্লোর সভাকক্ষে এক সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ফুলবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ডকে আনন্দবাজার বস্তিতে স্থানান্তর করা হবে।
আজিমপুরের বাসস্ট্যান্ডকে অবৈধ উল্লেখ করে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এখানে যাত্রী ওঠানামার জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকু সময় বাস দাঁড়াতে পারবে, এর বেশি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া আজিমপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যেন অভিযান পরিচালনা করে এবং সেখানে কোনো বাস যেনো থেমে না থাকে সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন মেয়র।
সভার শুরুতে মেয়র বলেন, রাজধানীর যানজট অসহনীয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু যখন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়, তখন যানজট কম থাকে।
ডিএমপি, ডিএসসিসি ও বিআরটিএ দ্রুত সমন্বয় সভা করে ১৯ নভেম্বর থেকে ডিএসসিসির ৫টি এলাকায় টানা একমাস মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকায় ৩০০ কোম্পানির প্রায় ৮ হাজার বাস চলাচল করে। ‘এইট টিসি’ প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের বাইরে থেকে গাড়ি ঘুরবে। শহরের মধ্যে কোনো গাড়ি ঘুরতে পারবে না।
এর আগে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এবং পুরান ঢাকা থেকে নতুন ঢাকায় আসতে হলে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে আসতে হয়। ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড অবৈধভাবে চলে আসছে, আর শহরের মধ্যে হওয়ায় যানজট খুব বেশি দেখা দেয়। কারণ সেখানে কোনো শৃঙ্খলা নেই, উল্লেখ করে মেয়র আরো বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করে আনন্দবাজার বস্তি এলাকায় ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন এবং ডিএমপি মিলে কমিটি গঠন করে ডিএমপিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন মেয়র।
সাঈদ খোকনের সভাপতিত্ব সমন্বয় সভায় ২৪টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া সভায় ২৬টি সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা নভেম্বর ১২, ২০১৭/আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা
এমএসি/জেডএস