বাংলানিউজের রাতের টিম নিজস্ব পরিবহন সিএনজি অটোরিকশায় চেপে রাতের ঢাকার সংবাদ সংগ্রহে বেরিয়ে পড়ে। গন্তব্য শাহবাগ।
ফার্মগেট পার হয়ে কিছুদূর যেতেই যানজট। বাংলানিউজের অটোরিকশাটিও কারওয়ানবাজারের কাছে এসে আটকে গেল যানজটে। হঠাৎ অটোরিকশার পেছনের বাম্পারে চড়ে বসলো চাকুধারী এক ছিনতাইকারী। সিএনজির ছাদের কাভারে চাকু দিয়ে পোছও দিলো সে। সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট জি এম মুজিবুর ‘ছিনতাইকারী, ছিনতাই’ বলে সজোরে চিৎকার শুরু করে দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চোখের পলকে লাপাত্তা হয়ে যায় ছিনতাইকারী।
রাতের টিম পরে আবার সেখানে গিয়ে ছিনতাইকারীকে দেখতেও পায়। কিন্তু বাংলানিউজ টিমের অবস্থান আঁচ করতে পেরে দ্রুত সে রাস্তা পেরিয়ে হারিয়ে যায় মানুষের ভিড়ে। এরপর ঘণ্টা দেড়েক কারওয়ান বাজারে অবস্থান করেও আর তার দেখা মেলেনি।
সিএনজি অটোরিকশার বাম্পারে উঠে ছিনতাই করার প্রসঙ্গে কথা হয় কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে রাত্রি যাপনের প্রস্তুতিরত মো.নাঈমের সঙ্গে।
তিনি বললেন, আমরা প্রায়ই দেখি এরা রাস্তার ওপার থেকে ছুটে এসে ‘আকাম করে’ আবার রাস্তার ওপারে চলে যায়। তবে এদের কাউকেই আমরা চিনি না।
আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত যতো বাড়তে থাকে ততোই এই চক্রটি সক্রিয় হতে থাকে। হালকা যানজটে সিএনজি গাড়িগুলো যখন আস্তে আস্তে চলতে থাকে, তখন এই চক্রটি সিএনজির ছাদের কাভার কেটে ছিনিয়ে নেয় মূল্যবান জিনিসপত্র।
তবে শুধু কারওয়ান বাজার নয়, রাতে রাজধানীর ফার্মগেট থেকে শাহবাগের রূপসী বাংলা হোটেল পর্যন্ত রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে অহরহ।
কারওয়ানবাজারে রাত ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত অবস্থান করলেও কোনো পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। ছিনতাইকারীরা তাই এখানে নির্বিঘ্নেই চালিয়ে যাচ্ছে অপকর্ম। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারানোর পাশাপাশি মারাত্মক জখমও হচ্ছেন অনেকে। শুক্রবারও মৌচাক-মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচে রিকশা দাঁড় করিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বাংলানিউজ টিম ছিনতাইয়ের সেই দৃশ্য ধারণ করে। এ নিয়ে বাংলানিউজে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। ছিনতাইয়ের শিকার ওই ব্যক্তির সর্বস্ব হারানোর কথা, অসহায়ত্বের কথা সেই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। কিন্তু রাতে রাস্তাঘাটে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ বা তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
**ছিনতাইকারি বললো, কার্ড-সিম ৫ মিনিট পর এখানেই পাবেন!
বাংলাদেশ সময়:১২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২,২০১৭
এসজে/জেএম