বাঙালির নতুন ফসল তোলার আনন্দে নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হয়। প্রচলিত রয়েছে ৫০ হাজার বছর আগে যখন নারীদের হাতে কৃষি সভ্যতার শুরু তখন থেকেই ফসল তোলার আনন্দে উদযাপন করা হয় নবান্ন।
সাধারণত প্রতি বছর পহেলা অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠে দেশবাসী। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও পহেলা অগ্রহায়ণ বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় নবান্ন উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদ।
রোববার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম।
এর আগেও বাঙালির এক সময়ের প্রধান এ উৎসবকে সার্বজনীন করতে গত দুই দশক ধরে নবান্ন উৎসব পালন করছে তারা। এবার ১৯ তম আয়োজনে 'এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে' স্লোগানকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উদযাপন পর্ষদ।
জানা গেছে, উৎসবটি উদযাপন করা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার বকুলতলায় ও ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চে।
উৎসবের দিন সকাল ৭টা ১ মিনিটে বকুলতলায় বাঁশির সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত করা হবে সবাইকে।
এছাড়া নাচ, গান, আবৃত্তি, নবান্ন কথন, ঢাক-ঢোলের বাদন আর যন্ত্রসঙ্গীতের পরিবেশনা তো থাকছেই। ওইদিন সকালে আদিবাসী গারোদের ওয়ানগালা নৃত্য এবং নবান্ন শোভাযাত্রা বের করা হবে।
সকাল ৯টায় শোভাযাত্রাটি বকুলতলা থেকে বের হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) চত্বর ঘুরে আবার বকুলতলায় এসে শেষ হবে।
তবে এবারের উৎসবে অন্যতম আকর্ষণ নড়াইল থেকে আগত নিখিল চন্দ্র ও তার দলের পটগান, নেত্রকোনার কেন্দুয়া থেকে দিলু বয়াতি ও তার দলের মহুয়া পালা, মানিকগঞ্জের চানমিয়া ও তার দলের লাঠি খেলা এবং খুলনার ধামাইল গানের দলের পরিবেশনা।
ঢাকার বাইরের এসব দল ছাড়াও ঢাকার প্রায় ৪৭টি সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি সংগঠনও এ উৎসবে অংশ নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারপারসন লায়লা হাসান, ল্যাবএইডের কর্পোরেট প্রধান সাইফুর রহমান লেনিন, কো-চেয়ারপারসন কাজী মদিনাসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এসআইজে/আরআর