শনিবার (১১ নভেম্বর) মধ্যে রাতে উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের ৯ নম্বর সেক্টরে ঘটে এ ঘটনা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই প্রহরীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মহাসিন জানান, তিনি পূর্বাচল উপ-শহরের ৯ নম্বর সেক্টরের একটি খালে মাছের খামার গড়ে তোলেন। ওই এলাকাটি নির্জন। দুই বছর আগে ওই খামারে মাছ ছাড়া হয়। এ ব্যাপারে তার প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়। মাছের খামারের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে।
৩ নভেম্বর রাতে প্রহরী সাইফুল ইসলামের যোগসাজশে চোরের দল মাছ চুরি করে নেন। এরপর সাইফুল ইসলাম ও প্রতিপক্ষ রহমান, পলাশ, হালিম মিয়াসহ অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন খামার মালিক মহসিন মিয়া। পরে খামারের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় কমর উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে।
শনিবার মধ্যে রাতে ওই আসামিরা প্রহরী কমর উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে রেখে খামারে এক ধরনের বিষ প্রয়োগ করে। বিষ প্রয়োগের ফলে খামারের সব মাছ ভেসে উঠে। এসময় জাল দিয়ে মাছ ধরে ট্রাকে করে নিয়ে যান। প্রতিবাদ করায় কমর উদ্দিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ভোরে কমর উদ্দিনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানায়, এর আগেও সাইফুল ইসলাম ও প্রতিপক্ষ রহমান, পলাশ, হালিম মিয়াসহ তাদের লোকজন এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
অপরদিকে, উপজেলার বরপা এলাকায় একটি ডাইং কারখানার বিষাক্ত পানি ফেলার কারণে রোববার সকালে আরেকটি মাছের খামারের প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় জাহাদ উল্লাহ সিকদার জানান, স্থানীয় আশরাফুল সিকদার ও মিশু ভূঁইয়া মিলে বরপা এলাকায় একটি খামার গড়ে তোলেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ খামারে মাছ চাষ করে আসছেন। রোববার সকালে পার্শ্ববর্তী লিখুন ফেব্রিক্স নামে একটি ডাইং কারখানার বিষাক্ত পানি খামারে ছেড়ে দেয়। এতে পুরো খামারের মাছ মরে ভেসে উঠে। প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, পৃথক ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ