ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ভাষাসৈনিক জয়নাল আবেদীনকে বিদায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ভাষাসৈনিক জয়নাল আবেদীনকে বিদায় সাভার উপজেলা চত্বরে জয়নাল আবেদীন খানের নামাজে জানাজা হয়। ছবি: বাংলানিউজ

সাভার: চলে গেলেন ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন খান (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর

বিকেলে সাভার উপজেলা চত্বরে তার নামাজে জানাজা হয়। পরে সাভার পৌর এলাকার তালবাগ কবরস্থানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে চিরসমাহিত করা হয়।

এসময় তাকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের জনতা।
 
জয়নাল আবেদীনের ভাই আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ১২টায় শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সকালে তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন জয়নাল আবেদীন।

আবু বকর সিদ্দিক আরও জানান, জয়নাল আবেদীন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাভারের সদস্য পদে কাজ করেছেন। এছাড়া যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও।
 
১৯৩২ সালে তৎকালীন পাবনা মহকুমার (বর্তমানে সিরাজগঞ্জ) শাহজাদপুর থানার বড়াল নদীর তীরে চয়ড়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন জয়নাল আবেদীন। তবে বড় হয়েছেন পৈতৃক বাড়ি পাবনার সাঁথিয়ায়। বাবা তালেব আলী খান ও মাতা উম্মে কুলসুম হাফিজা খাতুনের প্রথম সন্তান তিনি। ১৯৫১ সালে পাবনার গোপালচন্দ্র ইনিস্টিটিউট থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন তিনি। এরপর জড়িয়ে পড়েন সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে অংশ নেন জয়নাল আবেদীন। ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মান্নান তালুকদারের নেতৃত্বে মিছিলে অংশ নেওয়ার কারণে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ১৯৫৩ সালে মুসলিম লীগের একটি সভা পণ্ড করে দেওয়ায় কামাল লোহানী, রনেশ মৈত্র, আব্দুল মতিনসহ তিনি পুনরায় গ্রেফতার হন এবং ৬ মাস পাবনা ও রাজশাহী কারাগারে আটক থাকেন।  

১৯৫৪ সালের নির্বাচনের সময় যুক্তফ্রন্ট পাবনা উত্তর-পূর্ব কর্মী শিবিরের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন জয়নাল আবেদীন। ১৯৫৯ সালে স্নাতক পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হন এবং পর্যায়ক্রমে আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
 
১৯৭১ সালে মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভারতের আগরতলায় পাড়ি জমান। সেখান থেকে ট্রেনিং শেষে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।