রোববার (১২ নভেম্বর) জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, মীরগঞ্জ ঘাটে ফেরি পারাপারে যানবাহন থেকে কয়েকগুণ বেশি টোল আদায়, ইজারাদারের ইচ্ছে মতো ফেরি পরিচালনা এবং বিকেল ৫টার পর ইজারাদারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে টোল আদায়ের অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
পরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সভায় ফেরি চলাচলে নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সময় সূচির মধ্যে বাবুগঞ্জ প্রান্ত থেকে সকাল ৮টা, ১১টা, দুপুর ২টা ও বিকেল ৫টা এবং মুলাদী প্রান্ত থেকে সকাল সাড়ে ৯টা, দুপুর ১২টা, সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফেরি ছাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়।
পাশাপাশি ফেরিঘাটে বাড়তি টোল আদায় রোধ ও যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে পর্যাপ্ত মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।
সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি ফেরিঘাটে টোলের তালিকা টানানো রয়েছে। ভাড়া কেটে রসিদ বুঝে নিতে হবে। তাহলে বাড়তি ভাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে পাশাপাশি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহজ হবে। বাড়তি টোল দাবি করলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছেও অভিযোগ করা যাবে।
জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনির হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমায়ন কবির, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সিদ্দিকুর রহমান, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এই ফেরি পার হয়ে বরিশাল থেকে হিজলা, মুলাদী উপজেলার বাসিন্দারা সড়কপথে যাতায়াত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এমএস/আরবি