সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে নুহাশ পল্লীতে ভক্তদের শ্রদ্ধা নিবেদন। ফুল দিয়ে গভীর ভালোবাসায় স্মরণ করছেন জনপ্রিয় এ লেখককে।
নুহাশ পল্লীতে কেক কাটা শেষে হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, সারাদেশের মানুষ হুমায়ূন আহমেদকে যেভাবে স্মরণ করে তাতে আমাদের খুব ভাল লাগে, মনে হয় বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে আমাদের হুমায়ূন সবার আদরের হুমায়ূন। তার প্রতি ভালবাসা ও স্মৃতি সংরক্ষণে পারিবারিক সম্মতিতে খুব শিগগিই নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘরের কাজ শুরু করা হবে।
সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নুহাশ পল্লীতে আসছেন নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ ভক্তরা। হলুদ পাঞ্জাবী পড়া হিমু পরিবারের সদস্যরাও আসছেন। কবরে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তারা। দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের লক্ষে মেহের আফরোজ শাওন তার দুই পুত্র সন্তান নিষাদ ও নিনিতকে সঙ্গে নিয়ে নুহাশ পল্লীতে আসেন। বেলা ১১টার দিকে মেহের আফরোজ শাওন তার দুই পুত্র সন্তান নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের কবরে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হুমায়ূন আহমেদের বাস ভবনের সামনে তার ৬৯তম জম্মদিনের কেক কাটা হয়।
ভক্তদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিমু পরিবহনে চড়ে আসেন হলুদ পাঞ্জাবী পড়া হিমুরা। এছাড়া নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা, কর্মচারীরা কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। হুমায়ূন আহমেদের অবিস্মরণীয় লেখা ও বই বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের দাবি করেন তার ভক্তদের অনেকে। ভাললাগা ও ভালবাসার প্রেরণা থেকে তারা এখানে এসেছেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
আরএস/বিএস