ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রূপা ধর্ষণ-হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
রূপা ধর্ষণ-হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল আদালতের বিচারক ছুটিতে থাকায় মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপা গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের দিন পিছিয়েছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) চাঞ্চল্যকর রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য থাকলেও আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান ছুটিতে থাকায় এর তারিখ পিছিয়ে ২২ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম মো. নাছিমুল আখতার জানান, মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারিক আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী (মধুপুর অঞ্চল) আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান।


এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহায়তা ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।

৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর নিহত রূপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেককে আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন। ১৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর এ মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।