ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আখচাষিদের কাছ থেকে কর নিতে পারবে না সুগার মিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
আখচাষিদের কাছ থেকে কর নিতে পারবে না সুগার মিল শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক

ঢাকা: আখচাষিদের কাছে থেকে সুগারমিল এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন উপ-কর অর্ডিন্যান্স (রোড ডেভেলপমেন্ট সেজ) রহিত করে ‘চিনি (রাস্তাঘাট উন্নয়ন উপকর) আইন ২০১৭’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আখচাষিদের কাছ থেকে কর নিতে পারবে না কোনো সুগার মিল।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।


 
১৯৬০ সালের সুগার (রোড ডেভেলপমেন্ট সেজ) অর্ডিন্যান্সে ‘যারা আখ চাষি, তাদের আখ বিক্রির টাকা থেকে কর কেটে রাখা হয়। এটা হিসাব করা হয় মণপ্রতি। অর্থাৎ কী পরিমাণ আখ নিয়ে আসলেন সেটার আলোকে। আগে ছিল মণপ্রতি ১২ পয়সা। পরে চলতি বছরেই সেটা ৫০ পয়সায় উন্নীত করা হয়।
 
শফিউল আলম বলেন, সুগার মিল এলাকায় রাস্তাঘাট ব্যবহারের জন্য আখচাষি কৃষকদের কাছ থেকে উপ-কর নেওয়া হতো। এই উপ-কর তেমন কোনো কাজে আসছে না। এখন দেশের সব জায়গার রাস্তাঘাট, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, পৌরসভা জেলা পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান রাস্তাঘাট করে ফেলছে। সুগার মিল কর্তৃপক্ষের আলাদা করে রাস্তাঘাট তৈরি ও সংস্কারের জন্য অবশিষ্ট নেই।
 
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে এই আইনটি আর রাখার প্রয়োজন নেই। এটা কৃষকদের জন্য বাড়তি একটা বোঝা। কর দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। কর দেওয়ার পর কোনো সেবা তারা পায় না। সরকার কৃষকদের এই কর থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মণপ্রতি এই কর আদায় করা হতো।  

আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আইন সংসদে যাওয়ার পর অর্ডিন্যান্সটি রহিতকরণ হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া `আবহাওয়া আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মিন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আবহাওয়া সংক্রান্ত আইননা থাকায় নতুনভাবে এই আইনটি প্রণয়ন করা হচ্ছে। আইনটির সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
 
শফিউল আলম বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি, জলবায়ু সর্ম্পকিত সবধরনের বিপর্যয় সর্ম্পকে আগাম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আর আইনটি কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্লেন চলাচল, অ্যারোনোটিক্যাল মুভমেন্ট- সবগুলোর জন্য দরকার হবে।
  
আইনে আবহাওয়া অধিদপ্তরেকে আইনি কাঠামো দেওয়া হচ্ছে। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। ছয় ধারায় কার্যক্রম সর্ম্পকে বলা হয়েছে।
 
৭ ধারায় সেবা, ৮ ধারায় গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে এমন বলা হয়েছে।  আইনের ৯, ১০, ১১. ও ১২ ধারায় মহাপরিচালকের নিয়োগ ও কার্য সর্ম্পকে বলা হয়েছে।

বাকিগুলোতে বলা হয়েছে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম সর্ম্পকে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনে ৩১টি ধারা রয়েছে। আইনের ৩০ ধারা বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা ও ৩১ ধারা ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ সম্পর্কে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭/আপডেট: ১৬০৩
এসই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।