সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও পুলিশ ক্যাম্পের সামনের রাস্তায় ভিক্ষায় বাধা পেয়ে এভাবেই হুমকি আর অভিশাপ দিচ্ছিলেন এক যুবক।
গলায় ময়লা কাঁথা জড়ানো, পরনে ফুল প্যান্ট, খালি গা ও হাতে থাকা গাছের ডালে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে।
তবে হাসপাতালের কর্মচারী ও আশেপাশের লোকজনের অভিযোগ, চিকিৎসা নিতে আসা সরল মনের রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে নানা অভিনয় ও কৌশল করে টাকা-পয়সা নিয়ে থাকেন অনেকেই। এই যুবকও তেমনি একজন।
ওই স্থানের ফুটপাতের ব্যাগ বিক্রেতা আব্দুল মালেকেরও দাবি, ওই ব্যক্তি ভিক্ষুকের বেশধারী মাদকাসক্ত, নেশার টাকার জন্যই এখানে ভিক্ষা করছেন।
মালেক তাকে সরিয়ে দিতে গেলে ক্ষিপ্ত ভিক্ষুক বলে ওঠেন, ‘আমি খেতা পাগলা, আমাকে সবাই চেনে, আমার সঙ্গে বেয়াদবি করিস না, জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যাবি’।
ব্যাগ বিক্রেতা মালেকও পাল্টা জবাব দেন, ‘তুইতো ভণ্ড, মাদকের টাকার জন্য এখানে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছিস’।
এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ভিক্ষুক- ‘বাবা সহ্য করবে না, তোর কপালে খারাবি আছে। আমার কাছে মাফ চা। তা না হলে ধ্বংস হয়ে যাবি তুই’।
বাংলানিউজের কাছেও ওই ভিক্ষুক দাবি করেন, তাকে সবাই ‘খেতা বাবা’ নামে চেনেন। তবে তার নাম জানতে চাইলে বলেন, ‘ভবঘুরে। বাবার ইশারায় এখানে এসেছি’। এরপরই চুপ হয়ে যান, আর কথা বলেননি।
ঢামেক হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, প্রায় সময় এই ভিক্ষুককে এখানে ভিক্ষা করতে দেখা যায়।
ভিক্ষুককে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দাঁড়িয়ে ভিক্ষা চাইতে চাইতে হাতে থাকা লাঠিতে ভর দিয়ে ঘুমিয়ে যাচ্ছে। এরা হচ্ছে মাদকাসক্ত। কিছু টাকা ভিক্ষা করে দ্রুত ছুটে যায় নেশা করতে’।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বেশ না ধরলে তাদের ভিক্ষা দেবে কে?’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এজেডএস/এএসআর