সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সোনালী ব্যাংকের সিংড়া শাখায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল শিক্ষক জামাল উদ্দিন সিংড়া উপজেলার বিয়াশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, চলিত এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা ডিডি করতে জামাল উদ্দিন দুপুরে সিংড়ায় সোনালী ব্যাংকে আসেন। এসময় ব্যাংকের ভেতরে লাইনে দাঁড়িয়ে ক্যাশ আদায়কারীর সামনে যান তিনি। এক পর্যায়ে পেছন থেকে অপরিচিত এক লোক তাকে ইশারা করে বলেন, ‘আপনার মনে হয় কিছু টাকা মেঝেতে পড়ে গেছে’। এ সময় তিনি ডিডির টাকা কাউন্টারের সামনে রেখে নিচে তাকাতেই ওই লোকটি কাউন্টারের সামনে থেকে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তাকে সনাক্ত বা ধরতে পারেননি কেউ। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
ওই ব্যাংকে আসা হাসান ইমাম নামে এক গ্রাহক বাংলানিউজকে জানান, যখন ঘটনাটি ঘটে তখন তিনি ব্যাংকে ছিলেন। জামাল উদ্দিন যখন টাকা জমা দিতে আসেন তখন ক্যাশ কাউন্টারে কোনো কর্মকর্তা ছিলেন না, সিকিউরিটি গার্ডও ছিলো ওয়াশরুমে। এই সুযোগে অপরিচিত লোকটি মেঝেতে ১০০, ৫০, ২০, ১০ নোট ফেলে কৌশলে চুরির ঘটনাটি ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
সোনালী ব্যাংক সিংড়া শাখার ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আবুল হাসেম বাংলানিউজকে জানান, ব্যাংকে টাকা-পয়সা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সচেতন হওয়া উচিত। তাছাড়া ব্যাংক ও গ্রাহকদের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এনটি