এরমধ্যে প্রায় দুই হাজার জন্মনিবন্ধন সনদের আবেদন আটকে আছে। এতে বিপাকে পড়েছেন আবেদনকারীরা।
কবে নাগাদ কম্পিউটারগুলো ঠিক করা হবে আর জন্মনিববন্ধন কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে কিছুই জানা নেই দায়িত্বরতদের।
সূত্র মতে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধনের মূল কার্যক্রম পরিচালিত হয় নগরের বিবির পুকুরপাড়ের অ্যানেক্স ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে। সেখান থেকেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম নিতে হয়। আবার সেখানেই জমা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে হয়।
গত প্রায় এক মাস ধরে নিবন্ধন শাখার চারটি কম্পিউটারের মধ্যে তিনটিই নষ্ট থাকায় জন্মনিবন্ধনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে চলছে। এরমধ্যে প্রায় দুই হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে রয়েছে।
কম্পিউটারের দায়িত্বরতরা বাংলানিউজকে জানান, একটি কম্পিউটার দিয়ে প্রতিদিনের আবেদনের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তার পাশাপাশি ইন্টারনেটে ধীরগতি বিঘ্নতার সৃষ্টি করছে।
নিবন্ধন শাখার আবেদনপত্র জমা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ইরানী বেগম জানান, কিছুদিন ধরে হঠাৎ করেই জন্মনিবন্ধের চাপে একটু বেশি। সেসঙ্গে তিনটি কম্পিউটার নষ্ট থাকায় প্রায় এক হাজার ছয়শ আবেদনপত্র ঝুলে রয়েছে নিবন্ধন সনদের অপেক্ষায়। যার মধ্যে অধিকাংশই শিশুদের। বর্তমানে সেবাগ্রহীতাদের সঠিক সময়ে নিববন্ধন সনদ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, তিনি ২ সপ্তাহ আগে জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। বয়স হিসেবে নির্ধারিত ফিও দিয়েছেন কিন্তু এখনো নিবন্ধন সনদ পাননি। কিন্তু তার সন্তানের উপবৃত্তির জন্য নিবন্ধনের ফটোকপির প্রয়োজনটা এ মুহুর্তে অনেক বেশি। তাই নিবন্ধন শাখায় এসে ধর্ণা দিয়েছেন।
সবুজ নামে অপর এক সেবাগ্রহীতা জানান, কম্পিউটার সমস্যার কথা জানতে পেরে তাড়াতাড়ি পাওয়ার উপায় জানতে চাইলে নিবন্ধন শাখা থেকে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সুপারিশসহ সই আনতে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি থাকেন নগর ভবনে আর নিবন্ধন হয় বিবির পুকুরের অ্যানেক্স ভবনে। এক কিলোমিটার পথ ঘুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সই আনতে হয়েছে তাকে। তবে কম্পিউটারের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এমএস/এএটি