সোমবার (১৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালরেয় মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে বইটি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য থেকে নির্বাচিত ২৬টি বাক্যের উপর শিরোনামে দেশের খ্যাতিমান লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া লেখা সংবলিত একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রকাশনা ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: রাজনীতির মহাকাব্য’।
বইটির মুখবন্ধ রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে বাছাই করা ২৬টি বাক্যের বিশ্লেষণ করেছেন মুস্তাফা নুরউল ইসলাম, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, প্রফেসর ইমেরিটাস আনিসুজ্জামান, প্রফেসর মুনতাসীর মামুন, ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ডা. এস এ মালেক, সেলিনা হোসেনসহ আরও অনেক খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও লেখক।
বইটির মুখবন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘‘জাতির পিতার এই কালজয়ী ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিলো বাংলার গণমানুষের প্রাণের দাবি। এ ভাষণে বাঙালির প্রতি পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা ছিলো এ ভাষণের মূল লক্ষ্য। শত্রুর মোকাবেলায় তিনি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। ’ স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে ৭ই মার্চের এই ভাষণ গোটা জাতিকে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে। জাতির পিতার এই সম্মোহনী ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ’’
‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: রাজনীতির মহাকাব্য’ গ্রন্থটির প্রকাশ করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটির যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে বইটি প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বইটির পরিকল্পক এবং প্রধান উপদেষ্টা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রচ্ছদ এঁকেছেন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক অধ্যাপক হাশেম খান।
বইটির ইলেকট্রনিক ভার্সন, ই-বুক গুগল প্লে-স্টোর ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে বিদ্যমান ‘sheiboi’ শীর্ষক অ্যাপের মাধ্যমে পাঠ করা যাবে।
পাশাপাশি বইটির ওপর অবমুক্তকৃত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘7th March Speeh Analysis’ নামে গুগল প্লে-স্টোর [https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mcc.bangabandhuspeech] থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
এরই মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো ‘World Documentary Heritage’ ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এমইউএম/এমএ