সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, জাতির জন্য এটা খুবই লজ্জার ও বেদনাদায়ক।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, আদালত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার, কিন্তু আমরা বলছি যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন কেবল তিনিই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হবেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার স্বীকৃতি পাওয়া। আদালতের আদেশের কারণে ১৯৭১ সালে যার বয়স চার বছর ছিল তাকেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক।
তিনদিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ওয়েবসাইটে:
দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করতে সরকার কাজ করছে। অধিকাংশ উপজেলার তালিকা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২টি উপজেলার তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। আগামী তিন দিনের মধ্যে সমস্ত উপজেলার মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, এখনো যেসব প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়নি, তারা আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধা বলতে যারা ভারতবর্ষে ট্রেনিং নিয়েছেন তাদের একটা তালিকা করি। সেখানে দেখা গেছে কিছু কিছু সেক্টরের তালিকা তখন সঠিকভাবে সংরক্ষিত ছিল না, বা আমরা বাংলাদেশ আনতে পারিনি। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর একটি তালিকা করে, যেটা লাল তালিকাভুক্ত বলে পরিচিত। সেখানেও অনেক অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, এরপর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে নীতি-নৈতিকতা ছাড়াই সরকারি কর্মকর্তা দিয়ে প্রায় ৩৩ হাজার লোকের একটি তালিকা করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ দেয়। যাদের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননি। এটা জাতির জন্য দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, আদালতে মামলা থাকার কারণে তাদের এখনো বাদ দিতে পারিনি। এ বিষয়ে আদলতে ১১৬টি মামলা হয়। আমরা চেষ্টা করছি আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে আদালতের আদেশ প্রত্যাহার করে নিজ নিজ উপজেলায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করতে।
****প্রত্যেক এসিল্যান্ড গাড়ি পাবেন
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এসএম/এএ