সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফের প্রশ্নে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণীর পাচার রোধ করতে এসব দেশের মধ্যে তথ্য বিনিময়, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বাড়ানোসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে নির্গত রশ্মি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিনা এ কে এম শাহজাহান কামালের এমন প্রশ্নে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোনে বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে যে তরঙ্গ দৈর্ঘের রশ্মি ব্যবহ্নত হয় তা পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যে কি ক্ষতি করে, কতটুকু ক্ষতি করে সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত কোন গবেষণা আমাদের দেশে নেই।
তিনি বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গবেষণা কাজ পরিচালনা করছে মর্মে জানা গেছে। উল্লিখিত গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর হতে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সরকারের নিজস্ব তহবিল হতে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল গঠন করা হয়। ওই তহবিলে এ পর্যন্ত তিন হাজার দুইশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই তহবিলের অর্থে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়,সরকারি দপ্তর, সংস্থাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে/করছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই ট্রাস্ট ফান্ড হতে ৫২৯টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গৃহীত এসব প্রকল্পের মধ্যে ২২১টি প্রকল্প সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি প্রকল্প জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এসএম/জেডএম