সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে এই রেলগেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাতিরঝিল সংলগ্ন টঙ্গী ডাইভারশন রোড থেকে এফডিসির সামনে দিয়ে রেললাইন ক্রস করে বিজেএমইএ ভবন পর্যন্ত সড়কের পুরোটাই ঘুটঘুটে অন্ধকার। এই সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া নব-নির্মিত ফ্লাইওভারেও কোনো বাতি জ্বলে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ফ্লাইওভারের ওপরে এবং নিচের সড়কে গত এক বছর হলো কোনো বাতি জ্বলে না। এই দীর্ঘ সময় ধরে ব্যস্ততম সড়কটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে রাতের অন্ধকারেই ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। ঝুঁকি নিয়ে রেলগেট পার হচ্ছে যানবাহনগুলো। অন্ধকারের কারণে ট্রেন চলাচলের সময় আগে থেকে রেলের সিগন্যাল বাতি এবং রেলগেটের ব্যারিয়ার ফেলার কাজ করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে দায়িত্বরত গেটম্যানদের জন্য।
এদিকে এই অন্ধকারের মধ্যেই আবার রেলগেটের রেললাইনের ওপর দিয়ে ট্রাকসহ হুট-হাট করে বিভিন্ন যানবাহন ইউটার্ন নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। ট্রেন আসার সময় সহজে বোঝা যায় না ট্রেন আসছে, না ট্রাক ঘুরছে। এ রকম পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এ রেলগেটের দক্ষিণ পাশে দায়িত্বরত গেটম্যান জামাল জামাল বাংলানিউজকে জানান, অন্ধকারের মধ্যেই দিনের পর দিন এখানে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। অন্ধকারের কারণে সারারাতই এই জায়গাটা ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, এই রোডে বিদ্যুতের সংযোগ নেই। এক বছর যাবত এই অবস্থা চলছে। অন্ধকারের মধ্যে ডানে-বামে, আশে-পাশে কী আছে দেখতে পারি না, সিগন্যাল বাতির চাবি ঘোরাতে পারি না। অন্ধকার থাকায় এই রাস্তায় মাঝে-মধ্যে ছিনতাইও হয়। রেলগেটের উত্তর পাশের গেটম্যান মো. রবু বলেন, রাতে এখানকার বড় সমস্যা বিদ্যুৎ না থাকাটা। এক বছরের মতো এই ফ্লাইওভার উদ্বোধন হয়েছে, তাতেও বাতি জ্বলেনি। আগে থেকেই এই রাস্তায় কোনো বাতি নেই, বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগও।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এসকে/এইচএ/