সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জাতিসংঘ সদর দফতরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মিলিটারি অ্যাডভাইজর লইটি সম্প্রতি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।
আলাপকালে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত ও সাফল্যমণ্ডিত ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাগত দক্ষতা ও নিবেদিত দায়িত্বপালনের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের এ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি জাতিসংঘের প্রাধিকারভুক্ত মর্মেও উল্লেখ করেন।
বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করে সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সবসময়ই তার অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত রাখবে এবং নিবেদিতভাবে কাজ করে যাবে। বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে সামরিক উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় সিনিয়র সচিব সামরিক উপদেষ্টাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং এ সংক্রান্ত একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমোডর মোহাম্মদ বেলাল উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সচিব ড. মো: মোজাম্মেল হক খানের নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যসহ পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল ইতোমধ্যে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো’তে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কন্টিনজেন্ট পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সফরের অংশ হিসেবে তারা জাতিসংঘ সদরদফতরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর দুপুরে সিনিয়র সচিব ড. মো: মোজাম্মেল হক খান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন পরিদর্শন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময়কালে সাম্প্রতিক মিয়ানমার সঙ্কট মোকাবিলায় মিশন গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে সিনিয়র সচিবকে অবহিত করা হয়।
এছাড়া শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও জাতিসংঘের বিভিন্ন কমিটির আওতায় মিশনের অংশগ্রহণ ও ভূমিকার বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এসময় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
ওএইচ/