এমনিভাবেই সে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাইরের প্রকৃতি থেকে। আর বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে এ বিচ্ছিন্নতার ফলেই হারিয়ে যায় আমাদের লোকজ সংস্কৃতি।
আবহমান বাংলার সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকা শিশুসহ সবার কাছে বাংলার লোকজ সংস্কৃতি নতুন করে সামনে আনতেই ‘প্রাণ চিনিগুঁড়া চাল’ আয়োজন করছে নবান্ন উৎসব-১৪২৪।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহান শাহ আজাদ।
তিনি বলেন, কালের বিবর্তনে আমাদের সংস্কৃতি থেকে অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসব হারিয়ে যাচ্ছে। নবান্ন উৎসবের মতো এমন গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসব শহরের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
আগামী ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে। পুথিপাঠ, গাজীর কিসসা, পালা গান, পুতুল নাচ, বায়োস্কপ, নাগরদোলা, পালকি, লাঠি খেলা ও বানর নাচে ভরপুর থাকবে তিনদিনের এ নবান্ন উৎসব। থাকবে ঢেঁকি, কুলা, মাথাল, জাঁতাকলসহ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা প্রদর্শনী। এছাড়াও আয়োজনে ৩০টি বাহারি পিঠার স্টল থাকবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ আয়োজন থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করবেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ফকির আলমগীর, আবু বকর সিদ্দিক, লিলি ইসলাম, অনিমা রায়, ফেরদৌসী কাকলীসহ নামকরা শিল্পীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের ক্যাটাগরি ম্যানেজার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, এক্সপিইডেভের হেড অব অপারেশনস আদিল খান ও স্কলারস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এম ই চৌধুরী শামীম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এইচএমএস/এএ