প্রথমে নীলিমা ভাবলেন কোনকিছুতে বেঁধে ছিঁড়ে গেছে তার জামা। পরে ভালোমতো লক্ষ্য করে দেখেন জামাটি ব্লেড বা ধারালো কিছু দিয়ে কাটা হয়েছে নিপুণভাবে।
হঠাৎ নীলিমার মনে পড়ে গেলো কালো পাঞ্জাবি পরিহিত এক লোক তার কাছ ঘেঁষে হাঁটছিলেন। বেশ কয়েকবার পেছনে ফিরে লোকটিকে দেখবার চেষ্টা করেছিলেন নীলিমা। মধ্যবয়সী একজন এক লোককে দেখেছিলেন তিনি।
নিলীমা কাদেরের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। গত মাসের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে অনেক শখ করে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া মেয়েকে জামাটি কিনে দিয়েছিলেন। বাবার দেওয়া শখের জামাটি কেটে ফেলায় খুব কষ্ট পায় নীলিমা। বাসায় ফিরে কিছুটা কান্নাও করেন তিনি।
মন-মেজাজ খারাপ করে ভেবেছেন শুধু একটাই ভাবনা- আমার জামা কেন কাটলো! জামাটা কী দোষ করেছে? এ ধরনের কাজের উদ্দেশ্যই বা কী হতে পারে? কোনো উত্তর খুঁজে পায়নি নীলিমা।
সম্প্রতি গণপরিবহনে কিংবা পাবলিক প্লেসে জামা কাটার এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করেছেন কেউ কেউ। সেখানে শত শত মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে ভুক্তভোগী আরও অনেক নারীর। এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
বিকৃত রুচি ও অসুস্থ মানসিকতার এসব সামাজিক কীটদের প্রতিরোধে সবাই সচেতন না হলে হয়তো এ অসুখ সংক্রামক হয়ে উঠবে আরও। যা কোনোভাবেই সভ্য সমাজে কাম্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এমজেএফ/